অপরিকল্পিত বালুর বাঁধে তীব্র ভাঙনের মুখে কক্সবাজার সৈকত
বিভাগীয় প্রতিবেদক। | সেপ্টে ১৮, ২০২৪ | ১১:০৯
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালুর বাঁধ।ছবি: ইন্টারনেট।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত বেশ কয়েক বছর ধরেই ভাঙনের শিকার। সাম্প্রতিক বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে, সৃষ্টি হয়েছে একাধিক গুপ্তখাল। এর ফলে সৈকত এখন পর্যটকদের জন্য যেমন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে, তেমনই হোটেল-মোটেলসহ অন্যান্য স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়ছে। সমুদ্রবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এই ভাঙন ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে গবেষকদের মতে, এই পদক্ষেপগুলো বরং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। পাউবো যে বালুর বাঁধ স্থাপন করছে, তা টেকসই না হওয়ায় একদিকে ভাঙন রোধ হলেও অন্যদিকে নতুন করে ভাঙন শুরু হচ্ছে। জিওব্যাগ ভর্তি এসব বালুর বাঁধও বেশি দিন টিকছে না।
গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ কক্সবাজার সৈকতের জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, বালুর বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। বরং এতে ভাঙন আরও বৃদ্ধি পায়। তিনি উল্লেখ করেন, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো স্থায়ী প্রতিরক্ষাদেয়াল নির্মাণ করে সমুদ্র শাসন করা যেতে পারে, যা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
ড. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “সমুদ্রের একূল ভাঙলে ওকূল গড়ে”—কক্সবাজার সৈকতেও এ প্রবাদ সত্যি হচ্ছে। তবে অপরিকল্পিত বালুর বাঁধ দিয়ে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধ করলেও এর ফলে সৈকতের অন্যান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে সমাধান নয়।