কারাগার থেকে পালানো ৭৯ জঙ্গির ৯ জন সাজাপ্রাপ্ত, বাকিরা এখনো পলাতক
অপরাধ প্রতিবেদক। | সেপ্টে ১৯, ২০২৪ | ০১:০৯
রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তর মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। ছবি: ইন্টারনেট।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে কারাগারে হামলা ও কারাবন্দীদের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন বন্দী পালিয়ে যায়, যাদের মধ্যে এখনো ৯৮ জন যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের মধ্যে ৭৯ জন জঙ্গি-সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এবং ৯ জন সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত কারা অধিদপ্তরের মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি উল্লেখ করেন, অস্থিরতার সেই সময়ে ৮টি কারাগার থেকে ৯৪টি অস্ত্র লুট হয়েছিল, যার মধ্যে ৬৫টি উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দী পালানোর ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৬২২টি মামলায় ১৫ হাজার ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁরা কারামুক্ত হন। বর্তমান সরকার ওই ৬২২টি মামলা প্রত্যাহার করেছে। এছাড়া ৫ আগস্টের পর আলোচিত ৪৩টি মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, কারা অধিদপ্তর ও কারাগারগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন করা হচ্ছে এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। এছাড়া কারাগারে মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কারা মহাপরিদর্শক জানান, বর্তমানে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মিলিয়ে ৩৭ জন কারাগারে রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯ জন ডিভিশন সুবিধা পেয়েছেন।