তাওয়াফের আরামদায়ক মার্বেলের রহস্য
ধর্মীয় প্রতিবেদক। | সেপ্টে ১৯, ২০২৪ | ১১:০৯
মক্কা, সৌদি আরব।ছবি: ইন্টারনেট।
যাঁরা ওমরাহ বা হজ করতে গেছেন, তাঁরা জানেন, কাবা শরিফের মাতাফ খোলা আকাশের নিচে অবস্থিত। প্রচণ্ড রোদে তাওয়াফ করতে গেলে, রোদে পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকলেও, পায়ের নিচে কোনো কষ্ট অনুভূত হয় না; বরং পায়ের পাতায় এক ধরনের প্রশান্তি অনুভূত হয়।
হারামাইন (মক্কা ও মদিনা) সম্প্রসারণ প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মিশরীয় স্থপতি ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাইলকে। তিনি চেয়েছিলেন, তাওয়াফকারীদের আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য মসজিদুল হারামের মেঝেতে এমন এক ধরনের মার্বেল ব্যবহার করতে, যা তাপ শোষণ করবে না। অনেক গবেষণার পর এমন এক বিশেষ মার্বেল পাথরের সন্ধান মেলে গ্রিসের একটি পাহাড়ে। পৃথিবীর আর কোথাও এই মার্বেল পাওয়া যায়নি।
কামাল ইসমাইল গ্রিসে গিয়ে মার্বেল কেনার চুক্তি করেন। সেগুলো দিয়ে মসজিদুল হারামের মেঝে ঢেকে দেওয়া হয়। প্রায় ১৫ বছর পর সৌদি সরকার তাঁকে আবার ডেকে মসজিদে নববির মেঝে ঢেকে দেওয়ার দায়িত্ব দেন।
কামাল ইসমাইল দ্বিধায় ছিলেন—আসলে সেই মার্বেল আর আছে কি না। তিনি গ্রিসে ফিরে যান এবং জানতে পারেন, সেই পাহাড়ের বাকি পাথর বিক্রি হয়ে গেছে। বিমর্ষ ইসমাইল হতাশ হয়ে ফিরতে চাইলেন, তবে আগের ক্রেতার নাম জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।