বিসিএস বাণিজ্য ক্যাডার: দায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা ও পদোন্নতি

চাকুরী প্রতিবেদক। | সেপ্টে ২১, ২০২৪ | ১২:০৯
ছবি: ইন্টারনেট।

বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের প্রথম পছন্দ হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিসিএসে সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের অধীনে মোট ২৬টি ক্যাডার রয়েছে। প্রতিটি ক্যাডারের দায়িত্ব ও কার্যক্রম, পদায়ন, প্রশিক্ষণ এবং বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চাকরি-বাকরি পাতায় নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে। আজকের পর্বে থাকছে বিসিএস বাণিজ্য ক্যাডার সম্পর্কিত তথ্য, যা ৩৫তম বিসিএস কর্মকর্তা রবিউল আলম লুইপা শেয়ার করেছেন।

বাণিজ্য ক্যাডারের দায়িত্ব ও পদায়ন:

বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ ও পদায়নের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। সহকারী আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক হিসেবে নবম গ্রেডে যোগদানকারী কর্মকর্তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা বিভিন্ন আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে পদায়িত হন। এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বড় শহর যেমন চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেটসহ ১৪টি জেলায় তাদের পদায়ন হতে পারে। আন্তর্জাতিক মিশনে কর্মরত হিসেবে, বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা বিভিন্ন দূতাবাসে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর পদেও নিযুক্ত হতে পারেন।

প্রধান দায়িত্বসমূহ:

বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রধান দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে আমদানি-রপ্তানি নীতি বাস্তবায়ন, নিবন্ধন ও নবায়ন ফি আদায় তদারকি, বাণিজ্য সম্পর্কিত পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, মেলা ও প্রদর্শনীর জন্য পারমিট প্রদান এবং আমদানি ব্যয় ও রাজস্ব আয়ের পরিসংখ্যান সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা।

পদোন্নতি ও কর্মজীবন:

পদোন্নতির মাধ্যমে সহকারী নিয়ন্ত্রক থেকে উপনিয়ন্ত্রক, যুগ্ম নিয়ন্ত্রক, নিয়ন্ত্রক এবং অতিরিক্ত প্রধান নিয়ন্ত্রক পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগ থাকে। বর্তমানে এই ক্যাডারে প্রায় ২০ জন কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন, যেখানে জনবল ঘাটতির কারণে প্রেষণ পদ দিয়ে শূন্যপদ পূরণ করা হচ্ছে।

প্রশিক্ষণ সুবিধা:

বাণিজ্য ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) ৬ মাসের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এছাড়াও অফিস ব্যবস্থাপনা, ই-ফাইলিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রকিউরমেন্ট, এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। অন্যান্য ক্যাডারের মতো এই ক্যাডারের কর্মকর্তারাও সরকারি বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ পান।

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা:

সরকারি বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে, বিসিএস বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা ২২,০০০ টাকা মূল বেতন দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন, যা যোগদানের সময় ২৩,১০০ টাকায় উন্নীত হয়। এর পাশাপাশি বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, সন্তানের শিক্ষাসহায়ক ভাতা, উৎসব ভাতা, নববর্ষ ভাতা এবং যাতায়াত ভাতাসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা ভোগ করেন।

এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও সেবামূলক দায়িত্ব বিসিএস বাণিজ্য ক্যাডারকে চাকরিপ্রার্থীদের মাঝে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

সূত্র: প্রথম আলো।