চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ার লক্ষ্যারচর জিদ্দাবাজার এলাকায় বহুতল পাকা ভবনের জমি জবর দখলে হামলার ঘটনা ঘটেছে।এতে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকা দেওয়াল। উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের মহাসড়ক সংলগ্ন জিদ্দাবাজার এলাকায় ১৩জুন’২২ইং সন্ধ্যা সাড়ে ৭ঘটিকার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। এ নিয়ে জমি ও ভবনের মালিক মৃত জহির আহামদের পুত্র মোঃ ইছহাক বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে বিবাদী করা হয়েছে; একই এলাকার মোঃ ইলিয়াছের স্ত্রী রওশন আরা বেগম, তার ছেলে মোঃ হোবাইব, মহেশখালী মাতারবাড়ীর মোক্তার আহামদের পুত্র খুর্শেদ আলম, আবদু ছবুরের পুত্র ওসমান গণি, নুরুল ইসলামের পুত্র আবদুল গফুরকে।
অভিযোগে জানাগেছে, বাদী মোঃ ইছহাক
চকরিয়ার লক্ষ্যারচর মৌজার বি.এস ৪৮৮নং খতিয়ানের বি.এস ১৪০২, ১৬৬১নং সৃজিত খতিয়ানের বি.এস ৩০৬৫, ৩০৬৬, ৩১৫৬, ৩১৯১, ৩১৯০, ৩১৬৫, ৩১৯৮, ৩২০১, ৩২০৫, ৩১৫৫, ৩১৯৩, ৩১৮৯ দাগাদীর আন্দরে আপোষ চিহ্নিত বি.এস ৩১৯১ দাগে ২০.৫০ শতক জমি রেজিস্ট্রি মূলে ক্রয় করেন। যা রেজি:
দলিল নং- ২০৫৮, তাং- ০৫/০৬/২০০৬ইং ও অপর রেজি: দলিল নং- ১৭৯৯, তাং- ২২/০৫/২০০৭ইং মুলে খরিদ করিয়া নামজারী জমাভাগ খতিয়ান সৃজন পূর্বক শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে রয়েছেন। বর্তমানে উক্ত বাড়ী-ভিটার জমিতে পাকা বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ ৪ তলা পর্যন্ত ছাদের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বিবাদীগণ অত্যন্ত পরধন লোভী ও জবর দখলকারী হিসেবে দূর্লোভের বশীভূত হয়ে বাড়ী-ভিটার জমি জবর দখল করার উদ্দেশ্যে বিবাদীগণ প্রথম দফায় গত ৩মাচ’২২ইং সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর ৪র্থ তলার সেন্টারিং এর কাজ ও বিল্ডিং এর নির্মাণাধীন কাজ করাকালে অবৈধ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১ম তলার ভবনের পাকা দেওয়াল ভেঙ্গে আনুমানিক ৫০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। বিবাদীগণকে বাঁধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখি আক্রমণ ও ধাওয়া করে। তাতে আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় সুযোগ পেয়ে গত ১৩জুন’২২ইং সন্ধ্যা সাড়ে ৭ঘটিকার সময় বিবাদীগণ হাতে দা, কিরিচ, লোহার রড, লোহার হাতুড়ী, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে নিমানাধীন বিল্ডিং এর ২য় তলার সিঁড়ি ঘরের পাকা দেওয়াল ভাংচুর করে আনুমানিক ১০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। বিবাদীগণকে বাঁধা প্রদান করলে আক্রমণ করিতে উদ্যত হয়ে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে। বর্তমানেও পাকা বিল্ডিং এর অবশিষ্ট কাজ করিতে দিবে না, প্রতিবাদ করিলে মারিবে, কাটিবে, খুন করিবে, লাশ গুম করিবে মর্মে হুমকি প্রদানসহ বসত ভিটা ও বিল্ডিং ঘর জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।ভুক্তভোগি পরিবারের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তা তদন্ত করে দেখতে এএসআই মামুনুর রশিদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।