চকরিয়ায় স্থানীয় শালিসে ও জমি পরিমাপে বিচার পক্ষে না আসায় হামলা, আহত ৫

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ায় স্থানীয় শালিসে ও জমি পরিমাপে বিচার পক্ষে না আসায় এক অসহায় পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় একই পরিবারের ৫জন আহত হয়েছে।উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাজিয়ান নিমতলী গ্রামে ১২আগস্ট’২২ইং দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা।
এনিয়ে হামলার শিকার পরিবারের ওই এলাকার নুরুল আমিনের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫৫) বাদী হয়ে এদিন রাতে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এতে বিবাদী করা হয়েছে; একই এলাকার মৃত আফজল আহামদের পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মৃত কবির আহামদের পুত্র জসিম উদ্দিন লিটন, মৃত কবির আহামদের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, তার পুত্র মোঃ জাহেদুল ইসলাম, মৃত কবির আহামদের পুত্র মোঃ শাহাব উদ্দিন (৪৫), জয়নাল আবেদীনের পুত্র আবদুল্লাহ-আল শিবলু সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনকে।

অভিযোগে জানান, নুরুল আমিন এর নামীয় খরিদা রেজিঃ দলিল নং- ৩৭১৯, তাং- ১৬/১০/২০১৭ইং
মুলে ৬.৬৭ শতক জমির মালিকানা লাভ করেন। যা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাজিয়ান মৌজার বি.এস ১৪৫নং খতিয়ান ও নামজারী ২৩৯নং খতিয়ানের বি.এস ১১৫ দাগের আন্দর ৬.৬৭ শতক জমি মালিকানা সহ শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে রয়েছেন।
জমি নিয়ে অভিযুক্তরা বিরোধ সৃষ্টি করলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের সিদ্ধান্তে উক্ত জমি সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করা হয়। কিন্তু আসামীগণ স্থানীয় পরিমাপ অমান্য করে সার্ভেয়ার কর্তৃক স্থাপিত খুটি তুলে ফেলে। ওই বিষয় কি জানতে চাইলে আসামীগণ হাতে মারাত্মক দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র ও বেআইনী জনতা দলবদ্ধে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে। হামলায় আহত হয়েছেন; বাদী নুরজাহান বেগম (৫৫),তার পুত্র মিজানুর রহমান (৩৫) ও মোঃ মিনহাজ(৩০), পুত্রবধু আছিয়া বেগম (৩০), বয়োবৃদ্ধ গৃহকর্তা নুরুল আমিন (৬০)। আহতদের মধ্যে
মিজানুর রহমানের অবস্থা গুরুতর। তাকে কুপিয়ে মুখের উপরিভাগে, গলায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে হত্যার চেষ্টায় গুরুতর কাটা জখম করে। তাকে মুখে ১২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ছিনিয়ে ও লুট করে নিয়েগেছে; মাতামুহুরী নির্মানাধীন নতুন ব্রীজের প্রজেক্টে চাকুরীরত আহত মিজানের কাছে রক্ষিত রক্ষিত প্রজেক্টের নগদ ২লাখ টাকা, ১৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও ৭০হাজার টাকা মূল্যের এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন। ভুক্তভোগি আহতদের পরিবার প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা কামনা করেছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে থানার একজন উপপরিদর্শককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে