চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ায় অসামাজিক কাজে বাধা দেয়ায় পারভীন আক্তার (৩০) নামে এক প্রতিবাদী মহিলাকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম ও হাত-ভেঙ্গে দিয়েছে। উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ডেবলতলী গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। বর্তমানে চকরিয়া ইউনিক হাসপাতালের অর্থোপেডিক ও সার্জারী বিভাগে জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহত মহিলা ওই গ্রামের মোঃ সেলিম স্ত্রী। সবাই বাড়ির বাহিরে থাকার সুযোগে নির্মম এ ঘটনাটি সংঘঠিত হয়েছে বলে পরিবারের দাবী।
অভিযোগে ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, নোয়াখালীর হাতিয়া ও পেকুয়া মগনামা-উজানটিয়া থেকে এসে হারবাং ডেবলতলীর রিজার্ভ বনভূমিতে বহিরাগতভাবে বসবাস করছে অনৈতিক ও অসামাজিক কাজে জড়িত হামলাকারী পরিবারটি। জড়িতদের মধ্যে রয়েছে; ঘরজামাই নোয়াখালী হাতিয়ার নাছির উদ্দিনের পুত্র শুক্কুর প্রকাশ মাহিন, একই এলাকার হারুনের পুত্র নাঈম উদ্দিন, হারবাং ডেবলতলীর বাসিন্দা পূর্বের পেকুয়া মগনামার মৃত আবদুল গফুরের মেয়ে হালিমা জন্নাত ও আরজাহান প্রকাশ মনি, মৃত আবদুল গফুরের স্ত্রী মাবিয়া খাতুন, পুত্র সাহাব উদ্দিনসহ অজ্ঞাত ভাড়াটিয়া লোকজন রয়েছে।
ভুক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ; তারা বহিরাগত লোকজন গিয়ে এলাকায় প্রতিনিয়ত অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। তাতে কেউ বাধা দিলেই হামলা কিংবা মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়। এমনকি তাদের অনৈতিক কার্যকলাপে বাধা দিলে বিগত সময়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করা হয়েছে।সর্বশেষ গত ২৭আগষ্ট সন্ধ্যা ৬টায় স্থানীয় প্রতিবাদী ওবাইদুল্লাহর পুত্র মোঃ সেলিমের পরিবার অসামাজিক কাজে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে দা কিরিছ, হাতুড়ীসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্তা সেলিমের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩০)কে কুপিয়ে ও পিঠিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তা দুইটি পা ও হাতে কবজি ভেঙ্গে দেয়।এমনকি হত্যা নিশ্চিত করতে মাথার উপরিভাগে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে খবর পেয়ে পরিবারের অপরাপর সদস্যরা ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় আহত পারভীন আক্তারকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চকরিয়া ইউনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানাগেছে। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে হারবাং ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগি পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ পূর্বক হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহবান জানান।
জানতে চাইলে হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ওয়াহিদুর রহমান।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি, তবে, এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।