চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ায় পাষন্ড পুত্র ও পুত্রের শ্বাশুর বাড়ির লোকজনের হামলায় পিতা-মাতাসহ ৩জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ২৩সেপ্টেম্বর’২২ইং দুপুর সাড়ে ১২.৩০ ঘটিকার দিকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। হামলায় আহত হয়েছেন; মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র গুরা মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী হাবিবা বেগম (২৭), পুত্র মোঃ ওবাইদুর
রহমান (১৬)।
এঘটনায় গুরুতর আহত পিতা মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র গুরা মিয়া (৫৫) বাদী হয়ে থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন।
এতে আসামী করা হয়েছে পাষন্ড পুত্র মোঃ জুবাইর (২২), তার সহযোগি মোঃ লইল্যার ছেলে নুরুল আমিন, মোঃ আলীর ছেলে মোঃ ফারুক, নুরুল আমিনের ছেলে মঈনুদ্দিন, মোঃ আলীর ছেলে আবু ছিদ্দিক, জসিম উদ্দিন, নুরুল আমিনের ছেলে মোঃ লালা সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে।
অভিযোগে জানান, বাদীর পাষন্ড অবাধ্য পুত্র মোঃ জুবাইর পিতা-মাতাকে কোন ধরণের ভরণ-পোষন দেয় না। বৃদ্ধ বয়সে অতিকষ্টে ক্ষেত-খামার করে জীবিকা
নির্বাহ করেন। অভিযুক্ত ছেলে অনুমতি ব্যতিত গোপনে নুরুল আমিনের মেয়েকে বিবাহ করে। বিবাহের পর হতে বাদীর বসত ভিটায় পৃথক ভাবে ঘর করে বসবাস
করছেন। কিন্তু পুত্রবধু ও অপরাপর অভিযুক্ত আত্মীয়দের প্ররোচনায় বাদী অসহায় পিতাকে প্রতিনিয়ত অশ্লীল গালি-গালাজ, হাঁকাবকা এবং মারধর করতে উদ্যত হয়ে পারিবারিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার ঘটিকার সময় ২৩সেপ্টেম্বর’২২ইং দুপুর সাড়ে ১২.৩০ ঘটিকায় বাড়ীর পার্শ্ববর্তী পুকুরে গোসল করে বেগুন ক্ষেতের আইল দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ীতে আসার পথিমধ্যে পাষন্ড অবাধ্য পুত্রসহ অভিযুক্তরা পারিবারিক পূর্বশত্রুতার আক্রোশে ধারালো দা, কিরিচ, লোহার রড, লোহার হাতুড়ী, লাঠি ইত্যাদি মারাত্মক দেশীয় শস্ত্র নিয়ে তাকে পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তার চিৎকারে স্ত্রী হাবিবা বেগম (২৭) ও অপরপুত্র মোঃ ওবাইদুর রহমান (১৬) বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে ও মারধরে জখম করে। অপরাপর অভিযুক্তরা বাদীর স্ত্রীকে চুলে ধরে টানা-হেঁছড়া করতঃ বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী করে। এসময় তার বসতবাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর করে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে ও রুমে থাকা বাক্সের তালা ভেঙ্গে জমি খরিদের বায়না নামার জন্য রক্ষিত নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে ও স্ত্রীর বাক্সে থাকা ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন (মূল্য ৭০ হাজার) টাকা নিয়ে ফেলে। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে অসহায় পিতার মাথায় জখমের অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়ায় জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। ভুক্তভোগি পরিবার প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হামলার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপপরিদর্শক মানিক কুমারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।