চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
সোমবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলার সাধারণ ওয়ার্ড ( নং ৬) থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব আবু তৈয়ব। তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ১০৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০২ ভোট।
অপরদিকে, চকরিয়া পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ওয়ার্ড (৩) থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তানিয়া আফরিন (দোয়াত কলম)। নিকটতম হয়েছেন জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও সদস্য আসমা উল হোসনা ( টেবিল ঘড়ি)। বিজয়ী তানিয়া আফরিন কক্সবাজার ১ ( চকরিয়া পেকুয়া) আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলমের মেয়ে।
গতকাল বিকালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে প্রয়োগকৃত ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও জেপি দেওয়ান। এসময় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো রাহাত উজ জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( চকরিয়া সার্কেল) মো তফিকুল আলম, চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো শহিদুল ইসলাম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, থানার ওসি তদন্ত মো আবদুল জব্বারসহ প্রার্থীরা ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিক ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: সদস্য পদে আবু তৈয়ব এবারের নির্বাচনে আইনী জটিলতার কারণে সুপ্রীমকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে ১৬ অক্টোবর প্রার্থীতা ফিরে পান। এরপর তিনি ১৬ অক্টোবর একরাতের ব্যবধানে চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২৪৭ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান মিলিয়ে মোট ২৫০ জন নিয়ে গঠিত ভোটের মাঠে হিসাব বদলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী অঞ্চলের বেশিরভাগ ভোট নিজের অনুকুলে নিয়ে ফলাফল পাল্টে দিতে সক্ষম হন। এনিয়ে আলহাজ্ব আবু তৈয়ব চকরিয়া উপজেলা থেকে জেলা পরিষদের সদস্য পদে দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন। ####
চকরিয়ায় ঘরজামাই স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু
পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে লাশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ
চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্বামীর নির্যাতনে রিমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার ১৭ অক্টোবর খবর পেয়ে থানা পুলিশ উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত রিমা আক্তার চকরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের খোন্দাকার পাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের পরিবার সদস্যরা জানান, দুইবছর আগে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইরফানের সঙ্গে বিয়ে হয় রিমা আক্তারের। বিয়ের পরথেকে স্ত্রীকে শাশুড় বাড়িতে ঘরজামাই থাকতো ইরফান। ইতোমধ্যে তাদের সংসারে দেড়বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।
প্রতিবেশি লোকজন জানিয়েছেন, গতকাল দুপুরে স্বামীর মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রিমা আক্তার। এসময় নিহতের মা ও চাচা মিলে একটি টমটম গাড়িতে করে আহত রিমা আক্তারকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারীরিক চেক-আপ শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.আবদুল জব্বার বলেছেন, গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি দল উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওইসময় পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীকালে নিহতের পরিবার ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের দেওয়া তথ্যে গড়মিল দেখা যায়।
তিনি বলেন, নিহতের পরিবার বিনাময়না তদন্তে মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলেও গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে সন্দেহ তৈরী হয়। ফলে সেকারণে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ খোলাসা হবে।
চকরিয়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে মরদেহটি থানার আনার ঘন্টা পরে নিহতের মা থানার উঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে রিমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে হার্টের রোগী। নিয়মিত তার চিকিৎসা চলছে। আমাদের বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকলেও রিমার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক ভালো ছিল। কোন ঝগড়া বিবাদ ছিলনা। মুলত আমার মেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। ##৷