চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের বহুল আলোচিত ফজু-মিয়াজির চর বাইতুল করিম জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গত ২১/১০/২২ তারিখ অনুষ্টিত নির্বাচনে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচন পরিচালনা করেন পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাবা ফারহানা আফরিন মুন্না।
উক্ত নির্বাচনে দুটি গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপের প্রার্থী হল সভাপতি পদে নাজেম উদ্দিন সওদাঘর (প্রতীক-বাঘ), সেক্রেটারি মৌলানা ইউছুফ(প্রতীক-ফুটবল মার্কা), ক্যাশিয়ার মোঃ আব্দুল হামিদ টুক্কু(প্রতীক-দেওয়াল ঘড়ি) এবং অন্যদলের মধ্যে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন মৌলানা মহিউদ্দীন (প্রতীক-চেয়ার), সেক্রেটারি হাফেজ আব্দুল লতিফ (প্রতীক-সিলিংফ্যান), ক্যাশিয়ার মোঃ ইছহাক(প্রতীক- বই)। তার মধ্যে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাজেম উদ্দীন সওদাঘর(বাঘ), সেক্রেটারি নির্বাচিত মৌলানা ইউছুফ(ফুটবল), ক্যাশিয়ার নির্বাচিত মোঃ ইছহাক(বই)। এই নির্বাচনকে ঘিরে বছরখানেক আগে থেকে স্থানীয় মোঃ উচমান গনি, কাইছার উদ্দীন,এ কে এম এরশাদ উল্লাহ্ ও হাফেজ আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে একটি পক্ষ সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে আসছিল! একটি পক্ষ বর্তমান ও অতীত সভাপতি, সেক্রেটারি নিয়ে বিশাল একটি চক্রান্ত করেছিল তা সমাজের মানুষ ভোটের মাধ্যমে বানচাল করে দিয়েছে। এবং তারা মসজিদের টাকা আত্মসাধ করেছে ও বিভিন্ন অনিয়ম করেছে মর্মে বদনাম রটায়!! এব্যাপারে সভাপতি ও সেক্রেটারি আদালতে একটি মানহানি মামলাও দায়ের করে! এবং তা ভোটের মাধ্যমে সবকিছু পরিষ্কার হয়েছে বলে এলাকাবাসি মন্তব্য করেন।
অপরদিকে, গত ৩০ মে কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সৈকত পত্রিকায় ‘চকরিয়ায় মসজিদের টাকা আত্মসাৎ ও ময়লার পানি পুকুরে সরবরাহ করার অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে’ শীর্ষক মিথ্যা ও মানহানীকর সংবাদ প্রচারিত হয়। উক্ত মিথ্যাসংবাদ নিয়ে প্রকৃত বিষয় উল্লেখ করে পত্রিকায় প্রতিবাদ লিপি দেন বর্তমান সভাপতি নাজেম সওদাগর। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সততা ও নিষ্টার সাথে পূর্ববড়ভেওলার ৪নম্বর ওয়ার্ডের “ফজুমিয়াজীর চর বাইতুল করিম জামে মসজিদের” সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। প্রক্ষান্তরে সংবাদে অভিযোগকারি ব্যক্তি যথাক্রমে মাওলানা মহিউদ্দিন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মসজিদের নামীয় ২৪ কড়া জমি কোন প্রকার লাগিয়ত না দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভোগদখলে আছে। উসমান গনি মসজিদের কবরস্থানের নামে ১২ কড়া জমি বিক্রি করবে মর্মে টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমি রেজিষ্ট্রি দিচ্ছেনা। মহিউদ্দিনের কাছ থেকে মসজিদের জমির লাগিয়ত চেয়ে পায়নি। তার পর মসজিদের জমি মসজিদে ফেরত চেয়েছি, এ কারণে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একইভাবে উসমানের কাছ থেকে ১২ কড়া জমি মসজিদের কবরস্থানের নামে রেজিষ্ট্রি চেয়েছি, কিন্তু দিচ্ছেনা। বরং নানা টালবাহনা করে আসছে। তবে এসবের সাথে স্থানীয় মৌলভী বশির আহমদের ছেলে আবদুল লতিফ ও মৃত এনামুল হকের ছেলে এরশাদউল্লাহর যোগসাজস রয়েছে। যে কারণে আমি নিম্ন সাক্ষরকারি মসজিদের স্বার্থে মুহিউদ্দিন ও উসমানের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি, ফলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার মানহানির উদ্দেশ্যে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি মসজিদ কমিটির সভাপতি হয়ে মসজিদের পুকুরে ময়লাপানি সরবাহ করার বিষয়টিও ভিত্তিহীন। যা গত ২১/১০/২২ইং তারিখ অনুষ্টিত বাইতুল করিম জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে আমাকে বিজয়ী করে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। বর্তমানে নির্বাচিত সভাপতিসহ নির্বাচিত কমিটিকে অভিযুক্তরা নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।যা প্রশাসনিক তদন্তে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।