কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুইপক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে উল্টো কাকতালীয় ভাবে মামলার আসামি হয়েছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি । এ ঘটনায় রীতিমতো হতবাক ভুক্তভোগীর পরিবার সদস্যরা। পাশাপাশি এ ঘটনায় এলাকাবাসির মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চকরিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকারপাড়া এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকার পাড়া এলাকায় গত ২২জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে জায়গা-জমির বিরোধ নিয়ে খড়ের স্তুপে আগুন, ভাংচুরসহ দুপক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে উল্টো মামলার আসামী হলেন চকরিয়া উপজেলা ঠিকাদার সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও খোন্দকারপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মিজানুর রহমান কন্ট্রাক্টার। মসজিদ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা মিথ্যে মামলা থেকে মিজানুর রহমান কন্ট্রাকটার”কে অব্যাহতি দেয়ার দাবী করেন। সেই সাথে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থার দাবী করেন।
স্থানীয় লোকজন ও ভূক্তভোগিরা জানান, গত ২২জানুয়ারি ২০২৩ সকাল ৯টার দিকে চকরিয়া পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকারপাড়া এলাকায় স্থানীয় জিল্লুর রহমানের সাথে একই এলাকার নুরুল হুদা কালুর জায়গা-জমির বিরোধের জেরে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনাটি মিজানুর রহমান চৌধুরী কন্ট্রাকটারের বাড়ির সামনে ঘটে। এসময় মিজানুর রহমান কন্ট্রাকটার বাড়িতে থাকার সুবাদে ঝগড়া মিমাংসার চেষ্টা করে। এতে নুরুল হুদা কালুর লোকজন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লম্বা দা কিরিচ লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। ওইসময় মিজানুর রহমান কন্ট্রাক্টর তার বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
এদিকে ঘটনার প্রায় ১সপ্তাহ পরে নুরুল হুদা কালু বাদী হয়ে মারামারি থামানোকারী মসজিদ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী কন্ট্রাকটারকে ৩নং আসামী করে চকরিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০জানুয়ারি একটি মামলা (নং সিআর ১৪৭/২৩) দায়ের করেন। এরপর থেকে মিজানুর রহমান কন্ট্রাকটারকে একাধিকবার জীবননাশের হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভূক্তিভোগি মিজানুর রহমান কন্ট্রাকটার বলেন , আমি মারামারির ঘটনার সাথে জড়িত না। পক্ষে-বিপক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আমি তৃতীয়পক্ষ হিসেবে বিবাদ মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারপরেও আমাকে একটি মিথ্যে মামলায় ৩নং আসামী করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও হয়রানি করার চেষ্টা করছে কুচক্রীমহল। আমি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার দাবী করছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবতী বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য থানার একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে কাহারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া না গেলে কোন নিরীহ মানুষকে অন্তরভুক্ত করা হবেনা। ##